জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে প্রতি মাসে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় গেল আগস্টে এলপিজির দাম কেজিতে প্রায় ৩ টাকা কমানো হয়েছিল।
তবে আগস্টে কমলেও জুলাই মাসে এলপিজির দাম বেড়েছিল কেজিতে ১ টাকা। আরও আগে গত ৫ মে এলপিজির দাম কমিয়েছিল বিইআরসি। সেই সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল এক হাজার ৩৩৫ টাকা।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাকে আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।