গতকাল (৯ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করে গত ১ জুলাই থেকে বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
জারিকৃত আদেশে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অফিসার থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পর্যায়ের কর্মকর্তা, যাদের বেতন ৫০ হাজার টাকার উপরে তাদের বেতন ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন কমানো হয়েছে ১০ শতাংশ। বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ৫ ও ১০ শতাংশ হারে কমানো হবে। তবে ৫০ হাজার টাকা বা তার নিচে যারা বেতন পান তাদের বেতন কমানো হবে না। আর ৫০ হাজার টাকার উপরে যারা বেতন পান তাদের বেতন কমানোর পর যদি ৫০ হাজার টাকার নিচে নেমে আসে তাহলে তার বেতন ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, করানো ভাইরাসের ক্ষতি মোকাবিলায় খরচ কমানোর উদ্যোগ হিসেবে ব্যাংকে এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেতন কর্মকর্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছে। আশা করি এতে কর্মকর্তারা মনক্ষুণ্ন হবেন না, বরং বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মনোবল চাঙ্গা রেখে সঠিকভাবে কাজ করবেন। সুদিন আসলে আবার সব ঠিক হবে বলেও কর্মীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সবার জন্যই এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে ব্যাংক কর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানো, পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেন্টিভ বোনাস বন্ধ করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেয় বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়। এমন পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা কমানোর সুপারিশ থেকে সরে এসেছে বিএবি। কিন্তু বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের মালিকাধীন এক্সিম ব্যাংকের কর্মীদের বেতন ঠিকই কমানো হয়।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।