দক্ষিণ আফ্রিকার গাওতেং প্রদেশেই এসব কবর খোঁড়া হবে। দেশটিতে করোনার সবচেয়ে বড় হটস্পট এ প্রদেশ। প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে এসব কবর খুঁড়ছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য ডা. বান্দিলে মাসুকু জানান, ‘এটি অস্বস্তিকর একটি সিদ্ধান্ত।
এখন জনসাধারণের দায়িত্ব, এসব কবরের যাতে প্রয়োজন না হয়।’ গাওতেং প্রদেশ কর্তৃপক্ষ আগাম এসব কবর খুঁড়তে ব্যবহার করছে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। এছাড়া বিপুলসংখ্যক কবরের জন্য নেয়া হয়েছে চাষযোগ্য কৃষি জমিও। অনেকেই বলছেন, প্রশাসন আসলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এমন নিন্দনীয় কাজ শুরু করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়া এবং দেশটির সবচেয়ে বড় শহর জোহান্সবার্গ গাওতেং প্রদেশেরই অন্তর্ভুক্ত।
জোহান্সবার্গ এ অঞ্চলের রাজধানী। আর এ প্রদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশটির মোট আক্রান্তের ৩৩ শতাংশ।
মাসুকু বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষদিকের মধ্যেই গাওতেংয়ে করোনা রোগীদের জন্য ৫০০ শয্যার একটি হাসপাতাল চালু হবে। সেখানে চলতি মাসের শেষের দিকে আরও ৫০০ শয্যা যুক্ত করা হবে।
আশঙ্কার চেয়েও করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রতিনিয়ত দেশটিতে ফুঁসে উঠছে ভাইরাসটি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৪ হাজার মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন।
এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিনামূল্যে চিকিৎসার পরও থামছে না মৃত্যু মিছিল। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৬৭৪ জন। একই সময়ে প্রাণ গেছে ১১৮ জনের। এ নিয়ে আফ্রিকার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন কিংবা টিকা না থাকায় দেশীয় চিকিৎসায় আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৫৫৮ জন। দেশটিতে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
যেখানে এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি বাংলাদেশি করোনার শিকার হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষায় জোর দেয়া হচ্ছে। কোনো ফি ছাড়াই বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা।