ফ্রাইডেনবার্গ সম্প্রতি জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বাস্তবিক বেকারত্বের হার বর্তমানে প্রায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেকারত্বের হার ৭ দশমিক ১ শতাংশ। করোনার কারণে যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব অনেক বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর পড়ছে।’
মহামারীর কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে মন্দায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি। এর মাধ্যমে টানা তিন দশকের প্রবৃদ্ধির ধারায় ছেদ পড়ল। ট্রেজারি বিভাগ ধারণা করছে, চলতি প্রান্তিকে দেশটিতে বেকারত্বের সরকারি হার ৮ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় করোনা মহামারী আঘাত হানার পরের মাসগুলোয় কর্মঘণ্টা অনেক কমেছে। অবশ্য শুধু অস্ট্রেলিয়ায়ই নয়, পুরো বিশ্বের চিত্র একই। এর মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয় যে মহামারীর কারণে আমরা অবর্ণনীয় চাপের মধ্যে রয়েছি, যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে কর্মসংস্থানে।’
বেকারত্বের সরকারি হারের সঙ্গে কাজ করতে অনাগ্রহীদেরও কর্মঘণ্টা কমে যাওয়া যোগ করে বাস্তবিক বেকারত্বের হার হিসাব করা হয়। এ হার সরকারি হারের প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার অর্থ হলো, করোনার কারণে যতজন চাকরি হারিয়েছেন, তার সমানসংখ্যক মানুষ হয় চাকরি সন্ধানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অথবা তাদের কর্মঘণ্টা কমে গেছে।
এর আগে অর্থনীতিবিদরা ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেকারত্বের ধারণা করেছিলেন। কিন্তু সরকারি হিসাবে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। পূর্বাভাসের চেয়ে বেকারত্বের হার কম থাকার অর্থ হলো, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর কারণে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থান পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।
সুত্র: ব্লুমবার্গ।