তিনি আরও বলেন, অবসায়নের পর মিলগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে, যৌথ উদ্যোগ, জিটুজি ও লিজ মডেলে পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হবে। নতুন মডেলে পুনঃচালুকৃত মিলে বর্তমান শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে এসব মিলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
বুধবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) নেতাদের সঙ্গে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা সংকটের কারণে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ বেশি অসুবিধায় আছেন। তাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই না করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে, সব সেক্টরের শ্রমিকদের পবিত্র ঈদুল আজহার বোনাস এবং চলতি মাসের বেতন আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় আমরা এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি সাইফুদ্দিন বাদশাসহ বিভিন্ন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা অংশ নেন