স্বাক্ষরিত আদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে হংকং যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারমূলক অর্থনৈতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, হংকংয়ের জন্য আর কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার ও অর্থনৈতিক সুবিধা থাকছে না। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে স্পর্শকাতর প্রযুক্তির রফতানিও। তিনি আরো বলেন, হংকংয়ের মানুষের বিরুদ্ধে আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপের জন্য চীনকে কৈফিয়ত দিতে হবে। আর এ লক্ষ্যেই আমি আইনে ও একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছি। এখন থেকে হংকংকে আর চীনের থেকে আলাদা করে দেখা হবে না। চীন ও হংকং উভয়ের সঙ্গেই সম আচরণ করা হবে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কারণে বেইজিং পাল্টা মার্কিন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, হংকংবিষয়ক সিদ্ধান্ত পুরোপুরি চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এক্ষেত্রে অন্য কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।
তবে সমালোচকরা বলছেন, সম্প্রতি জারীকৃত নিরাপত্তা আইন ১৯৯৭ সালে চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় হংকংকে প্রতিশ্রুত বহুবিস্তৃত বিশেষ স্বাধীনতায় আঘাত হানবে। অন্যদিকে আইনের সমর্থকরা বলছেন, সরকারবিরোধী সহিংস আন্দোলনের পর আইনটি হংকংয়ে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে।
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর উত্পত্তি নিয়ে আগে থেকেই মার্কিন-চীন সম্পর্ক তিক্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগর ও উইঘুর মুসলিম প্রসঙ্গেও উভয় দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এর আগে থেকে বিদ্যমান রয়েছে বাণিজ্যযুদ্ধ। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্ত দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।