আমরা গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর খুব জোর দিচ্ছি। সবার জন্য অনার্স, মাস্টার্স আর পিএইচডি ডিগ্রির প্রয়োজন নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ এবং তার পরবর্তী সময়ের প্রতিযোগিতামূলক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় আমরা কি প্রস্তুত?’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা, টেকনিক্যাল শিক্ষা, ইংলিশ মিডিয়াম, কওমি ও সাধারণ শিক্ষা ধারাসহ ভিন্ন ভিন্ন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সাধারণ শিক্ষা আবার দুই ধারায়- ইংলিশ ভার্সন ও বাংলা ভার্সন। শিক্ষার সব ধারাই কিছু আবশ্যিক দক্ষতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় লক্ষ করা যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই আবশ্যিক দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে না। সরকার আবশ্যিক দক্ষতা উন্নয়ন এবং সব ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষতা নিশ্চিত ও যাচাইয়ের জন্য একটি ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও তার পড়াশোনার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য কাজ করছি। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাচ্ছি যার মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বপ্নও অর্জিত হবে। আমরা গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর খুব জোর দিচ্ছি। সবার জন্য অনার্স, মাস্টার্স আর পিএইচডি ডিগ্রির প্রয়োজন নেই।