বিএসইসি সূত্র জানা গেছে,কোম্পানিটির আইপিওর লটারি ব্যুরো ফর রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরটিসি), বুয়েটের তদারকিতে সম্পন্ন করে যেকোন একটি স্বীকৃত এবং সনদপ্রাপ্ত ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আবেদনকারীদের নিকট সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করবে। আগামিতে সব আইপিওর ক্ষেত্রে সিডিবিএল এর তদারকিতে বুয়েটের বিআরটিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ বা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তৈরীকৃত লাইসেন্সড ডিজিটাল প্লাটফর্মে লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করা হয় গত ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত। এতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে। একইসময় কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারীর ২২ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়ে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।