আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ভবনে উত্তর সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ধানের শীষ, কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত ডা. সাজেদুল হক রুবেল পেয়েছেন কাস্তে মার্কা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের শাহিন খান পেয়েছেন বাঘ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদ হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুল হক দুলাল পেয়েছেন আম প্রতীক।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আজ থেকে ভোটের যুদ্ধ মাঠে চলে যাচ্ছে। প্রার্থীরা যেন কোনোমতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে সেই বিষয়ে আমি অনুরোধ করছি। কোনো প্রার্থী লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন হলো একটি উৎসব। এই উৎসবকে আমরা কোনোক্রমেই সংঘর্ষে রূপ নিতে দেব না। রাস্তাঘাট বন্ধ করে কোনো জনসভা করতে দেওয়া হবে না।
এছাড়া প্রত্যেক মেয়র প্রার্থীদের একটি করে আচরণবিধি দেওয়া হয় এবং প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে কোনো প্রার্থী রঙিন পোস্টার লাগাতে পারবেন না বলেও জানানো হয়। আচরণ বিধিমালা শতভাগ মেনে চলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এর আগে গতকাল ১২৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। প্রত্যাহার শেষে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন অথাৎ তিন পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৩৪ জন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ জানুয়ারি। ১০ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ, আর ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। পুরো ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোট সাধারণ ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫৪টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৩৪৯টি এবং সম্ভাব্য ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৫১৬টি, মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬১১ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১ হজাজার ১২৪টি, ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৯৯৮টি, মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম সভা হয়েছিল একই বছরের ১৪ মে এবং দক্ষিণের প্রথম সভা ছিল ১৭ মে। এই হিসেবে ২০২০ সালের ১৩ মে যথাক্রমে ঢাকার উত্তর এবং ১৬ মে দক্ষিণের মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। আইন অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।