বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির বিষয়ে বার্ষিক পর্যালোচনায় আইএমএফ জানায়, চাহিদা চাঙ্গাকরণে ও গৃহস্থালি ব্যয়ে সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে আগামী মাসগুলোয় মার্কিন সরকারকে আরো পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি নজর দিতে হবে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে। আইএমএফ জানায়, মার্কিন অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব নীতিগত সমর্থন ও সহায়তার পরও দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপিতে ৩৭ শতাংশ পতন হয়। এ অবস্থায় ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকোচন হতে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। সার্বিকভাবে এ পূর্বাভাসে ‘ভয়াবহ’ অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে।
আইএমএফের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রধান ঝুঁকি হলো পুনরায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ। এমন হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের আংশিক বা পূর্ণ লকডাউনে যেতে হতে পারে। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কিছু মাত্রায় বিধিনিষেধ আরোপে বাধ্য হয়েছে। এ অবস্থায় ওয়াশিংটনভিত্তিক সংকটকালীন ঋণদাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে আসন্ন মাসগুলোয় আরো আর্থিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হতে হবে চাহিদা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে আরো প্রস্তুতি নেয়া এবং সবচেয়ে সংকটাপন্নদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া।