তারকা হোটেল মালিকেরা ৫০০ কোটি টাকা অনুদান চায়

তারকা হোটেল মালিকেরা ৫০০ কোটি টাকা অনুদান চায়
করোনার কারণে পর্যটন শিল্পে মারাত্মক ধ্বস নেমেছে। বেশিরভাগ তারকা হোটেলের অতিথির সংখ্যা শুন্যে নেমে এসেছে। এতে বিপর্যস্ত হোটেলগুলোর ব্যবসা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছেন তারকা হোটেল মালিকেরা। পাশাপাশি সুদ মওকুফ, কর ছাড়, পরিষেবা বিল মওকুফ ও নতুন ঋণে সুবিধাসহ আরও নানা দাবি জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

তারকা হোটেল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরে। গুলশানের হোটেল রেনেসাঁয় আজ আজ বুধবার সকালে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এখানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিহা সভাপতি ও হোটেল আগ্রাবাদের প্রধান নির্বাহী এইচ এম হাকিম আলি। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিহা'র বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও গোল্ডেন টিউলিপ দ্য গ্র্যান্ডমার্ক ঢাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খালেদ-উর-রহমান।

খালেদ-উর-রহমান বলেন, জিডিপিতে এ খাতের অবদান ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু করোনার আঘাতে এ খাতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি বছরই হোটেলগুলোর ক্ষতি ৭ হজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। করোনায় বেশির ভাগ হোটেলের অতিথি সংখ্যা ২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা স্মরণকালে সর্বনিম্ন। অনেক হোটেল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হোটেলগুলো পক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএটিএ) তথ্য তুলে ধরে খালিদ উর রহমান বলেন, বাংলাদেশে করোনাকালে বেকার হয়ে পড়ার হুমকির মুখে রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি হোটেল শ্রমিক ও কর্মচারী। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এর আগে পোশাক শিল্পে ক্ষতি নিরসনে সরকার ঘোষিত বিশেষ তহবিল জনমনে ব্যাপক প্রশংসা ও আশার সঞ্চার করেছে। আমরাও দেশের গৌরবজনক ভূমিকা রেখে আসা হোটেল তথা পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে চাই।

বিহা'র দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তারকা হোটেলগুলোর ঋণের সুদ গত মার্চ থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ করা। চলমান ঋণের কিস্তি আগামী বছরের জুন থেকে চালু করা ও এর আগের সুদ স্থগিত রাখা।

এছাড়া সরকার ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩ বছর মেয়াদী করা এবং ঋণ বিতরনের তারিখ হতে ১ (এক) বছর বিরতি দেওয়া। লকডাউনে কারণে ছুটিতে যাওয়া হোটেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকা অনুদান চায় বিহা।

হোটেল মালিকদের দাবির মধে আরও রয়েছে, গত মার্চ থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব পরিষেবা বিল মওকুফ করা। এছাড়া চলতি অর্থবছরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন থেকে কর কর্তন মওকুফ চায় সংগঠনটি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে খালেদ-উর-রহমান বলেন, সরকারের আহ্বানে করেনা রোগীদের সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন হোটেলে রাখা হলেও এর ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সরকার লকডাউন দিয়েছে। তাই আমাদেরকে দেখার দায়িত্ব সরকারের।

তিন তারকা থেকে ৫ তারকা ৪৭ টি হোটেল বিহা'র সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাডিসন ব্লু -ঢাকা ও র‌্যাডিসন ব্লু -চট্টগ্রামের এমডি সাব্বির আহমেদ, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকার এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফিন্যান্স) আসিফ আহমেদ, লং বিচ হোটেলের এমডি আবুল কালাম আজাদ, লেকশোর হোটেল গুলশানের এমডি কাজি তারেক শামস, আমারি ঢাকার এমডি অশোক কেজরিওয়াল, হোটেল লা ভিঞ্চির এমডি এটিএম সাইদুল আলম, রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেলের জিএম আজিম শাহ, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা এবং হানসার সিইও সাখাওয়াত হোসেন, দ্য ওয়ে ঢাকার এমডি আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ এবং বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়ার সিইও রাশাদুল হোসেন চৌধুরী।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

জাতীয় দলে আর খেলবেন না তামিম
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
কম খরচেই ঘুরে আসুন বিশ্বের ৫ দেশে
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে
অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
বাংলাদেশ ফুটবল দলের পেজ হ্যাক
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫
আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন দুই ক্রিকেটার