যদিও বাংলাদেশের কোথাও ফিরোজ আলমের ব্যাক্তিগত কোন ঋণ নেই।গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছিল এ এস এম ফিরোজ আলম এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণ থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১৫ (৬) (উ) ধারা বিধান অনুযায়ী এস এম ফিরোজ আলমকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই। তবে পরে জানা গেছে সিআইবি রিপোর্টটি হালনাগাদ হতে দেরি হওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছিল।
বুধবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা বেগম স্বাক্ষরিত ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি চিঠি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের চলতি ১৬ জুলাই তারিখে পত্র নং এমবিএল/বো.স./২৫o/২০২০ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। ২৪ জুন ব্যাংকের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত এ এস এম ফিরোজ আলমকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিযুক্তিতে অনুমোদন দেয়া হলো।
এ বিষয়ে এ এস এম ফিরোজ আলম অর্থসংবাদকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে ছিলাম, বাংলাদেশের কোথাও আমার ব্যাক্তিগত ঋণ নেই।করোনার কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট সিআইবি রিপোর্ট আপডেট না করায় তিনি এর শিকার হন।আমাকে যারা চিনেন এবং জানেন তারা অবাক হয়েছিলেন এ খবর শুনে।পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এটি সংশোধন করলে মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে আমাকে পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য ১৬ জুলাই সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ ২২ জুলাই এটি অনুমোদন দেন।
জানা গেছে, শিল্পপতি এ এস এম ফিরোজ আলম ব্যাংকিং এবং লিজিং ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এছাড়াও টয়ো সিস্টেম বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়ায় ‘শাহেদা গফুর ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন।