করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নেওয়া সীমান্ত নীতি আরো সহজ করবে জাপান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত দুই যুগের মধ্যে ইয়েনের বিনিময় হার সর্বনিন্মে অবস্থান করছে। এ সময়ে জাপানের পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। খবর রয়টার্স।
কোন ট্রাভেল এজেন্সির সহযোগিতা ছাড়াই ১১ অক্টোবর থেকে পর্যটকরা ভিসা ছাড়াই দেশটিতে যেতে পারবেন।
জাপান মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে কঠোরতম সীমান্ত নীতি বজায় রেখেছে। গত জুন থেকে ধীরে ধীরে বিদেশীদের জন্য সীমান্ত খুললেও সংশ্লিষ্টরা বলছে তা যথেষ্ট নয়।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বক্তৃতাকালে কিশিদা জানান, মে মাসে করা অঙ্গীকার অনুসরণ করে জাপান সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকে অন্যান্য গ্রুপ অব সেভেন দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি জাতি যারা মানুষ, পণ্য ও পুঁজির অবাধ প্রবাহের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করেছি।
এর আগে ব্যবসায়িক লবি ও ভ্রমণ সংস্থাগুলো জাপানকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ দ্রুত আরো শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, এর ফলে জাপান বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হারানো ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে।
জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গত জুনে পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়।
২০১৯ সালে জাপানে ৩ কোটি ২০ লাখ পর্যটক প্রবেশ করে। এ ছাড়া মহামারী ঘোষণার এক দিন আগে দেশটিতে পর্যটক এসেছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে সীমান্ত খুলে দেয়ার পর জুলাই পর্যন্ত মাত্র ৮ হাজার বিদেশী দেশটি ভ্রমণ করে।