বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে,কোম্পানির পরিচালকদের বিরুদ্ধে চারটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিমিশন। কোম্পানি ও সকল পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ। যাতে তারা কোম্পানির হিসাব এবং তাদের হিসাব থেকে কোন টাকা তুলতে না পারে। সকল পরিচালকদের বিও হিসাব জব্দ। যাতে তারা কোন ধরণের শেয়ার কেনা বেচা করতে না পারে।কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে বিশেষ অডিট করবে বিএসইসি।এবং চতুর্থ হলো হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সরজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। যা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে। যা আর ৫ দিন সময় আছ্।
জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের চিঠিটি গত ২২ জুলাই সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠিয়েছে বিএসইসি। একই সভায় কোম্পানির সকল পরিচালকদের বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নতুন কোন সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগ পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও কোম্পানিটি তা দেয়নি। কিন্তু লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করেছে মর্মে বিএসইসিকে চিঠি দিয়ে জানায় তারা। এ জালিয়াতির বিষয়ে একাধিক শেয়ারহোল্ডারের অভিযোগ পেয়ে গত ২১ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
বর্তমানে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান। পরিচালকদের মধ্যে অন্যরা হলেন এনামুল কবির, মো. নুরুদ্দিন এবং হাসান মোহাম্মদ তানভির। কাগজে-কলমে তাদের নামে কোম্পানিটির ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিকটাত্মীয়সহ বেনামে তাদের বিপুল পরিমাণ শেয়ার রয়েছে। প্রকৌশল খাতের সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।