গত এক মাসের ব্যবধানে আবারো বাড়লো এই স্বর্ণের দাম। করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেই অলংকার তৈরির এ ধাতুর দাম এখন আকাশচুম্বী। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারেও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সংগঠনের সভাপতি দিলিপ কুমার আগারাওয়ালা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববাজারে গত এক মাসে ১৩০ ডলার দাম বেড়েছে। গত দুই মাসে ২০০ ডলার বেড়েছে। আর করোনাকালীন গত ছয় মাসে মোট ৪২৫ ডলার বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিনদিনে আন্তর্জাতিক বাজারে ১০০ ডলার দাম বৃদ্ধি দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙেছে। করোনাভাইরাসের জন্য ব্যবসা স্থবির। অনেকে নিরাপদ বিনিয়োগের স্থান পাচ্ছে না। এই আস্থাহীনতার কারণে স্বর্ণকে একমাত্র ভরসা মনে করে কিনছে। এর ফলে অতিরিক্ত চাহিদা বৃদ্ধিতে দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, এখন আমদানির সুযোগ দেওয়া হলেও পুরোপুরি সুবিধা পেতে আরও সময় লাগবে। সবাই যখন আমদানি করবে তখন আন্তর্জাতিক বাজার দরেই বেচাকেনা হবে।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, সবচেয়ে ভাল মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) বিক্রি হবে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মানের সোনার ভরিপ্রতি বিক্রয়মূল্য ছিল ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। অর্থাৎ এ মানেরসহ সব মানের স্বর্ণে প্রতি ভরিতে বাড়ছে ২ হাজার ৯১৬ টাকা।
পরবর্তী দাম নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ২১ ক্যারেটের সোনা ভরিপ্রতি বিক্রি হবে ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকা দরে। এ মানের প্রতি ভরি সোনার বিক্রয়মূল্য ছিল ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনা ভরিপ্রতি বিক্রি হবে ৬০ হাজার ৮৮৬ টাকা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মানের সোনার ভরিপ্রতি দাম ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দামও ভরিপ্রতি ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। এ মানের স্বর্ণ ভরিপ্রতি বিক্রি হবে ৫০ হাজার ৫৬৩ টাকায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মানের স্বর্ণের দাম ৪৭ হাজার ৫৮৯ টাকা ভরি।