২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ। তারা যুদ্ধাপরাধ মানাবিধকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের তালিকা করেছেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল ইনস্টিটিউট শান্তির নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম ঘোষণা করেছে।
পুরস্কার হিসেবে ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার পাবেন শান্তিতে এই নোবেলজয়ী। এর আগে, গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন ফিলিপিনো সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি বলেছে, বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিটি বলেছে, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ীরা তাদের নিজ নিজ দেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা অনেক বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় প্রচার চালিয়ে আসছে। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও শান্তির এই নোবেলবিজয়ীরা প্রশংসিত।
শান্তিতে নোবেলজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির। সব নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও শান্তি পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো থেকে। কাজটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্র অনুযায়ীই করা হয়।
এ বছর নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয় গত ৩ অক্টোবর (সোমবার)। প্রথমদিন চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্ত হোমিনিনের জিন ও মানব বিবর্তনের যুগান্তকরী এক গবেষণার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পেয়েছেন সুইডিশ জিনতাত্ত্বিক বিজ্ঞানী সোয়ান্তে প্যাবো।
আগামী ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে এবারের নোবেল পুরস্কারের আনুষ্ঠানিকতা।