সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হলে বাংলাদেশের ওপরও এর প্রভাব পড়বে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বড় রাষ্ট্রগুলোর ওপর যেভাবে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে সেভাবে পড়বে না। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের উচ্চ অর্থনীতির সঙ্গে যোগাযোগ অতটা সরাসরি নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে বড় রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতির যোগাযোগ ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নানাভাবে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে সিলেট নগরের জিন্দাবাজারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার এক যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের সবাই মিলে এই সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে। অতীতে দুই-চারবার যে হয়নি এমনটা নয়, এবারও এটাকে মোকাবিলা করা হবে। সবার যা হবে আমারা তার বাইরে নই।
সংকট মোকাবিলার কৌশল সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি যেটা মনে করি সাধারণ মানুষ হিসেবে, আমার ধারণা প্রধানমন্ত্রীও তাই করবেন। আমাদেরকে আমাদের ঘর গোছাতে হবে। মোট কথা আমাদের ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঢেউ উঠলে আমাদের বাপ-দাদারা নৌকা চালাতেন একটু সাবধানে। অর্থনৈতিক সংকটের একটি ঢেউ আছে। এই ঢেউয়ের সময়ে নৌকার কান্ডারি শেখ হাসিনা। নৌকাটাকে একটু সাবধানে নিয়ে যেতে হবে। ঢেউয়ের ওপর রাশ টানতে হবে। ব্যয়ের রাশ টেনে ধরতে হবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
তিনি বলেন, যেগুলো অতি প্রয়োজনীয় সেগুলোকে সচল রাখতে হবে। যেমন- শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড-খেলাধুলা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অতি জরুরি নয়। যেমন ফুটবল মাঠ একটা আছে, আরেকটা করলে ভালো। এগুলো পরে করলেও চলে, এটা একটা উদাহরণ।
আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণ প্রাপ্তির বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, এ ব্যাপারে আইএমএফ খুবই ইতিবাচক। তাদের দুই-একজনের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী। এই ঋণ বাংলাদেশ অবশ্যই পাবে। কারণ আমরা ঋণ পরিশোধ ভালোভাবে করি।
এসময় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কবি কাশমির রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।