‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ নিয়ে প্রতিবাদের মুখে যা বলল আইসিটি বিভাগ

‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ নিয়ে প্রতিবাদের মুখে যা বলল আইসিটি বিভাগ





সরকারি ২৯ প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করা হলেও জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে এটি কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।





রোববার এক তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়।





বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদের মুখে এ বিষয়ে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং উক্ত পরিকাঠামোসমূহের নিরাপত্তা সামান্যতম বিঘ্নিত হলে জনগণের বিপুল ক্ষতির কারণ হবে।এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বা তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের সঙ্গে ইহা সাংঘর্ষিক নয়।’





গত রোববার ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইসিটি বিভাগ।‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেওয়া ক্ষমতাবলে’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।





রাষ্ট্রায়ত্ত এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণাকে ‘ভয়াবহ’ বলে প্রতিক্রিয় জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।অবাধ তথ্য প্রবাহের স্বার্থে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।





এই তালিকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।তিনি বলেন, ‘এই তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও বিভ্রান্তিকর। কোনো রাষ্ট্রীয় নীতি সমর্থিত না হওয়ার পরেও এই তালিকার প্রকাশ বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’





তবে আইসিটি বিভাগ বলছে, কতিপয় রাজনৈতাক দল ও প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ থেকে কোনোরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না মর্মে বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।





আজকের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এইরূপ কোনো বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যাহা কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চারণ বা সংরক্ষণ করে এবং যাহা ক্ষতিগ্রস্ত বা সঙ্কটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্বের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।’





আইসিটি বিভাগের ভাষ্য, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ও আর্থিক তথ্যাবলী সংরক্ষিত থাকায় এদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহের আইটি অডিট সম্পন্ন, যথাযথ অবকাঠামো নির্মাণ, সঠিক মানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ, যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানব সম্পদ নিয়োগ ইত্যাদি কার্যক্রমের দ্বারা পরিকাঠামোগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসাধারণকে নিরাপদ ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা পৌঁছে দেওয়াই এই ঘোষণার প্রধান উদ্দেশ্য।





এতে আরও বলা হয়- ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ চিহ্নিত করা আছে।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপিকে শাপলার বিকল্প প্রতীক নিতে চিঠি দেবে ইসি
শর্ত পূরণ করেছে এনসিপিসহ দুটি দল: ইসি
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আলী আজমের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ
দূষিত বায়ুর তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়
আজ বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বাংলাদেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই: প্রধান উপদেষ্টা