ছুটির দিনেও কমলাপুর স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার দর্শক। এএফসি অ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ইয়েমেনের বিপক্ষে ০-৪ গোলে হেরেছে।
ইয়েমেন ই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে খেলবে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ রানারআপ হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ১০ গ্রুপের মধ্যে সেরা ৬ রানারআপ হয়ে চূড়ান্ত পর্ব খেলা অনেকটা কঠিনই হয়ে পড়ল।
বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে। যদিও ম্যাচের শুরুটা ছিল স্বাগতিকের অনুকূলে। প্রথম ২০ মিনিটে বাংলাদেশ লিড নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে। ভাগ্যও সহায় ছিল না বাংলাদেশের। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
ইয়েমেন শুরুর দিকে বেশ চাপেই ছিল। সেই চাপ মুক্ত করে বাংলাদেশই৷ মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো এক লম্বা বল বক্সে নিয়ন্ত্রণ নেন ইয়েমেনের ফরোয়ার্ড। এক পাক ঘুরে বল বক্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ডিফেন্ডার চন্দন রায় ফাউল করেন। উজবেক রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান৷ আনোয়ার হোসেন গোল করে ইয়েমেনকে এগিয়ে নেন।
৩৬ মিনিটে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় দফায়। মোহাম্মদ ওয়াহিব নোমান বক্সের মধ্যে দূরপাল্লার শটে গোল করেন৷ বাংলাদেশের গোলরক্ষক সোহানুর রহমান দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না৷
২ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ গোলের চেষ্টা করেছে। এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে বক্সের মধ্যে ইয়েমেনের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি নাকচ করে দেন।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ইসাম আব্দুল তায়েফ। মিডফিল্ড দারুণ এক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের বক্সে প্রবেশ করেন ইসাম৷ আগুয়ান গোলরক্ষক বলের নাগাল পাওয়ার আগেই ইসাম বল জালে পাঠান।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ গোল দিয়ে ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ৬৭ মিনিটে বক্সের সামনে বল পেয়েও বাংলাদেশ গোল করতে পারেনি। ৭৪ মিনিটে কর্নার থেকে আরেকটি গোলের সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ গোল মিস করলেও ইয়েমেন করেনি। ৭৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন বদলি ফুটবলার মোহাম্মদ আমির।