সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১টি পরীক্ষাগারে, সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৪টি নমুনা। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৯টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ লাখ ২৪ হাজার ৮১৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, ৩৭ জনের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন চার জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন এবং নারী ১১ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন দুই হাজার ৩৩২ জন, যা ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং নারী মারা গেছেন ৬৩৩ জন, যা ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুরবরণ করেছেন তাদের বয়স বিভাজনে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আট জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত বয়স বিভাজনে মৃত্যু হয়েছে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৫৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব এক হাজার ৩৫৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৫৫০ জন, আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৭৫ জন। মোট আইসোলেশনে গেছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ জন, ছাড়া পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৬৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার সাত জন।