আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান) অঞ্চলের মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুবিধার আওতায় সাধারণ কৃষকদের অনুকূলে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা একান্ত প্রয়োজন। তাই উল্লেখিত এলাকায় ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সহজ প্রক্রিয়া চালুর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হলো। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর পূর্বক এই হিসাব খুলতে হবে। বাগান তৈরিতে উৎসাহীদের জন্য স্বল্প সুদে বিশেষ ঋণ প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ এবং জুমচাষিদের অগ্রাধিকার দিয়ে আদা, হলুদ, মরিচ, গোলমরিচ ও তেজপাতা চাষের জন্য ৪ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রতিস্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান এলাকায় কৃষিঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নিজ নিজ ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট শাখা গুলোকে বিশেষ নির্দেশনা জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি স্কিম বা তহবিল গঠন করবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিলটি গঠন করে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধান, গম, আলু, ভুট্টাসহ সব ধরনের শস্য ও ফসল উৎপাদনে ঋণের সুদহারও ৪ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে সব ধরনের ঋণের সুদহার হবে ৪ শতাংশ। আগে কৃষিঋণের সাধারণ সুদহার ছিল ৯ শতাংশ, এখন সেখানে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কৃষকের সুদ কমে হয় ৪ শতাংশ।
সূত্র জানায়, কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর অনীহার কারণেই বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।