আর্থিক খাতের বহুল আলোচিত-সমালোচিত বেসিক ব্যাংকের কর্মীদের বেতন কমাতে জারি করা সার্কুলারের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২২ ডিসেম্বর ওই সার্কুলার জারি করা হয়। এতে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক বিগত সাত বছর ক্রমাগত লোকসান দেওয়ায় বিদ্যমান অতিরিক্ত বেতন-ভাতা ব্যাংকের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকের বিদ্যমান বেতনকাঠামো ও অন্য সুবিধাদি বাতিল করা হলো।
এই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক আবু মো. মোফাজ্জলসহ ছয় কর্মকর্তা গত সপ্তাহে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওই সার্কুলার কার্যকর হলে কর্মীদের ক্ষেত্র বিশেষে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেতন কমবে। তবে কাউকে একবার কোনো সুবিধা দিলে তা কেড়ে নেওয়া যায় না—এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এমন যুক্তিতে রিটটি করা হয়। সার্কুলারটি স্থগিতের ফলে কর্মীদের আগের বেতন কাঠামো বহাল থাকবে।
রুলে গত ২২ ডিসেম্বরের ওই সার্কুলারটি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অর্থ সচিব, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের বেতনকাঠামো ছিল আলাদা। এতে তারা অন্য ব্যাংকের চেয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বেতন-ভাতা ভোগ করতেন।