রোববার (২ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ৪৫ লাখ পরিবারের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুদ সক্ষমতা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টনে উন্নীত করার লক্ষ্যে গৃহীত আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পে অর্থায়নের অংশ হিসেবে এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পটি বাংলাদেশকে জলবায়ুজনিত দুর্যোগ বা বর্তমানের কোভিড-১৯ মহামারির মতো দুর্যোগের সময়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এই প্রকল্প চাল ও গম সংরক্ষণের জন্য আশুগঞ্জ, মধুপুর ও ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন তিনটি সাইলোসহ দেশের আট জেলায় আটটি স্টিলের সাইলো নির্মাণে সহায়ক হবে।
বিশ্বব্যাংকের ঋণের অর্থ নির্মাণাধীন তিনটি সাইলোসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে তিনটি চালের সাইলো এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় দুটি গমের সাইলো নির্মাণে ব্যয় করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরকারি খাদ্য সংরক্ষণাগারে খাদ্য শস্য মজুদের ক্ষেত্রে অপচয় অন্তত ৫০ শতাংশ কমবে এবং একইসঙ্গে নতুন মজুদ করা খাদ্যের পুষ্টিমাণ বর্তমানের ৬ মাসের পরিবর্তে দুই বছর পর্যন্ত বজায় থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হলো ৩০ বছর। এর প্রথম পাঁচ বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে, অর্থাৎ এই পাঁচ বছরে কোনো সুদ দিতে হবে না।