এলসি খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এলসিগুলোর মান এবং পণ্যের প্রকৃত বাজারমূল্যের দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার রোধ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
এসময় তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি ও রেমিটেন্সের পরিমাণ আমদানির তুলনায় বেশি হওয়ায় জানুয়ারি থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্তে দেখা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে অস্বাভাবিক আমদানির পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আমদানিকৃত পণ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি কমেছে, যা স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে আমরা দেখেছি, কিছু পণ্য ২০ থেকে ২০০ শতাংশ ওভার ইনভয়েসিং দিয়ে আমদানি করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাচাইয়ের কারণে আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আন্ডার-ইনভয়েসিং এবং ওভার-ইনভয়েসিং, বৈদেশিক মুদ্রা পাচার এবং রাজস্ব আয়ের বিষয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ইআরডি সচিব শরিফা খানসহ অনেকে।
অর্থসংবাদ/কেএ