রাজশাহীর পুঠিয়া, সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরী সংশ্লিষ্ট এলাকায় ও চট্টগ্রামের মিরসরাই শিল্প পার্কে এই তিনটি শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে।
বিসিক আশা করছে, আগামী ৩ বছরের মধ্যে এসব শিল্প পার্ক বিনিয়োগ উপযোগী হবে। চামড়াজাত পণ্য শিল্প পার্কে মূলত পাদুকা এবং চামড়াজাত পণ্য যেমন-হাতব্যাগ, বেল্ট ও ওয়ালেটসহ অন্যান্য চামড়া পণ্যের শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান জানান, ‘আমাদের দেশে পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এর বড় একটা অংশ চীন থেকে আমদানি করে পূরণ করা হচ্ছে। আমরা মূলত স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানি আয় সম্প্রসারণের জন্য দেশে পাদুকা ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য তৈরির জন্য শিল্প পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১০০ একর ও সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরী সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২শ’ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাই শিল্প পার্কে ৩শ’ ২২ একর জমি বরাদ্দের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে ১শ’ একর জমি বরাদ্দের সম্মতি পাওয়া গেছে।
মোশতাক হাসান বলেন, দেশে নতুন করে আর কোন ট্যানারি শিল্প নগরীর প্রয়োজন হবে না। কারণ আমাদের দেশে যে কাঁচা চামড়া পাওয়া যায়, সেটা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য খুব বেশি সময় লাগে না। মূলত ঈদুল আজহার পরবর্তী তিন মাসের জন্য ট্যানারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেটার জন্য সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরী যথেষ্ট। তাই এখন আমরা ট্যানারির পরিবর্তে চামড়াতজাত পণ্য শিল্প পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি-আগামী ৩ বছরের মধ্যে রাজশাহী ও সাভারে চামড়াজাত পণ্য শিল্প পার্ক পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। মিরসরাই শিল্প পার্ক প্রস্তুত হতে হয়ত সময় লাগবে ৪ বছর। শিল্প পার্ক প্রস্তুত হলে দ্রুততার সঙ্গে সেখানে শিল্প স্থাপনের কাজ শুরু হবে।’
বিসিক চেয়ারম্যান জানান, প্রত্যেকটি শিল্পপার্ক পরিবেশ বান্ধব ও প্রতিযোগিতা সক্ষম ও আন্তর্জাতিকমানের হবে। সেখানে ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, সিইটিপিসহ অন্যন্যা সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে। যাতে সেখানে যে সব পণ্য তৈরি হবে, সেগুলো যেন মানসম্পন্ন এবং রফতানি উপযোগী হয়।
চামড়াজাত পণ্য শিল্প পার্ক স্থাপন হলে দেশে পাদুকা তৈরির শিল্প যেমন সম্প্রসারিত হবে তেমনি বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া বিশ্বের বড় বড় রিটেইলারদের কাছে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
উল্লেখ্য, চামড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত। মোট রফতানি আয়ের ৪ শতাংশ এই খাত থেকে আসে। বর্তমানে ৬ লাখ মানুষ সরাসরি এই খাতের কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।