ওমানের তেল ও গ্যাস মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ বিন হামাদ আল রুমী প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এই প্রস্তাব দেন। গতকাল (১২ জানুয়ারি) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ওমানি সরকারের কাছে বিষয়টি ফলোআপ করবে।
ওমানের মন্ত্রী ওমানের অর্থনীতিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবদানের অত্যন্ত প্রশংসা করেন এবং জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে তার সরকারের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ডা. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানের চার দিনের সফরে রয়েছেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে জ্বালানী ফোরামে অংশ নিয়েছেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও শিল্পমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার সোহেল মোহাম্মদ ফরাজ আল মাজরোয়ীর সঙ্গে একটি প্যানেল অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উপদেষ্টা সফরে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আটলান্টিক কাউন্সিল গ্লোবাল এনার্জি ফোরামেও যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
ফোরামের ফাঁকে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সম্পদ বিষয়ক সহকারি মন্ত্রী ফ্রান্সিস আর ফ্যাননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা ভবিষ্যতে সহযোগিতা বাড়াতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
মার্কিন সহকারী মন্ত্রী আরও জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বেসরকারী বিনিয়োগের সুবিধার্থে ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) প্রতিষ্ঠা করেছে।