২০২২ সালে মাঠের লড়াইয়ে ডেনমার্কের সাথে দুইবার দেখা হয়েছে ফ্রান্সের। দুইবারই হারের মুখ দেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। একই বছর টানা তৃতীয় হার এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ডেনিসদের মুখোমুখি হচ্ছে এমবাপ্পেরা। এই বছর উয়েফা নেশনস লিগে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই ডেনমার্কের কাছে হারে ফ্রান্স। তাই সতর্ক থেকে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নামবে দিদিয়ের দেশমের দল।
২০০৬ সালে ব্রাজিলের পর থেকে কোনও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে পারেনি। এবার সেই শাপমোচন করে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর ৪-১ গোলে ঘুরে দাঁড়ানো জয় পায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আর ক্যাস্পার হুলমান্ডের দল তিউনিসিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ে শুরু করে এবারের অভিযান।
ইনজুরিতে করিম বেনজেমার অনুপস্থিতিতে আলো জ্বালিয়েছেন অলিভিয়ের জিরুদ। অস্ট্রেলিয়ার জালে দুইবার বল পাঠিয়ে ফ্রান্সের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা থিয়েরি অঁরির পাশে এখন তিনি। আর একটি গোল করলে জিরুদ হবেন সবার সেরা হবেন এবং ফ্রান্স জিতলে নিশ্চিত হবে শেষ ষোলোও।
২০১০ সালের বিশ্বকাপ থেকে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা কখনও গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে পারেনি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি ট্রফি হাতে নেওয়ার পরের বিশ্বকাপে বিদায় নিয়েছে নকআউট না খেলেই। সেই বিব্রতকর ধারা ভেঙে দেওয়ার মিশন ফ্রান্সের সামনে।
ডেনমার্ককে হারাতে পারলেই ফ্রান্স পেয়ে যাবে শেষ ষোলোর টিকিট। ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষস্থানে তাদের জায়গাও চূড়ান্ত হতে পারে। এজন্য তিউনিসিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি ড্র হতে হবে।
হুলমান্ড স্বীকার করেছেন, তার দল ডেনমার্ক কঠিন অবস্থার মধ্যে। বর্তমানে তারা টেবিলের তৃতীয় স্থানে, ফেয়ার প্লে পয়েন্ট দিয়ে তাদের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দ্বিতীয় স্থানে তিউনিসিয়া। তবে এখনও ডেনিসদের সুযোগ আছে শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করার।
নেশনস লিগে দুইবার ফ্রান্সকে হারানোর পাশে আরেকটি ইতিহাস রয়েছে ডেনমার্কের পক্ষে। বিশ্বকাপে তাদের শেষ চারটি ম্যাচই হয়েছে ড্র। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির সামনে দ্বিতীয় দল হিসেবে বড় মঞ্চে টানা পাঁচটি ড্রয়ের সুযোগ। শেষ চারটি ম্যাচের তিনটি ক্লিনশিট ধরে রাখা ডেনমার্ক নিশ্চিতভাবে ফ্রান্সের কঠিন পরীক্ষা নেবে।
অর্থসংবাদ/কেএ