মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিসচিয়ান লিন্ডমেইর বলেন, অনেক সময় গবেষকরা নতুন কিছু উদ্ভাবনের দাবি করেন। অবশ্যই তা বড় খবর। কিন্তু কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া বা সেটির খোঁজ পাওয়ায় অবশ্যই সব ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এটি অনেক বড় পার্থক্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে থাকা যে ছয়টি করোনা ভ্যাকসিনের কথা বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটিও রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন নেই।
গত সপ্তাহে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানায়, অক্টোবর মাস থেকেই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
শুরুতে ডাক্তার ও শিক্ষকদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হবে। তবে ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি আরআইএ। ১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা। ২২ জুলাই (বুধবার) রুশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত।
গামালিয়ার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অর্থায়ন করছে রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। সংস্থাটির প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিনটির নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
দিমিত্রিয়েভ বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা ঘটলে আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশের চেয়েও এগিয়ে থাকবো। কারণ, করোনাভাইরাসের প্রথম নিবন্ধিত ভ্যাকসিন হবে তা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি চীন ও রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদের একটি উপ-কমিটির শুনানিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।