গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই চিনা পণ্য বর্জনের ডাক এ দেশ জুড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই চিনা টাইটেল স্পনসরকে আইপিএল-এ রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত রবিবারের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে।
ভিভোকে থেকে যেতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেটে পড়েন অনেকে। বোর্ডের উপরে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই মতামত দেন, ভিভো বয়কট না করলে আইপিএলকেই বয়কট করা হবে। এই আবহে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) -এর স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ (এসজেএম) আইপিএল থেকে সব ধরনের চিনা প্রতিষ্ঠানকে বর্জন করার দাবি তোলে।
চাপ যে ভাবে বাড়ছিল তাতে ভিভো যে এবার সরে যাবে, এ রকম একটা ইঙ্গিত ছিলই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তা বাকি সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানান, এ বারের আইপিএলে টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভিভোকে হয়তো দেখা যাবে না। আর তার পরেই টাইটেল স্পনসরের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধের দিকে সেই জল্পনাই সত্যি হয়। টাইটেল স্পনসর হিসেবে যে তারা যে এ বার থাকছে না, তা বোর্ডকে জানিয়ে দেয় চিনা সংস্থাটি।
২০১৮ সালে চিনা সংস্থার সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করে বিসিসিআই। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বোর্ডকে প্রতি মরসুমে ৪৪০ কোটি টাকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল ভিভো। সূত্রের খবর, বোর্ডকে এ বার ১৩০ কোটি টাকা কম দেবে বলে জানিয়েছিল মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। কারণ হিসেবে ভিভো তুলে ধরে, চিনা পণ্যের বিরুদ্ধে সার্বিক ভাবে জনমত গড়ে উঠেছে এবং তার ফলে ব্যবসাতেও মন্দা এসেছে। কিন্তু বিসিসিআই তাদের অনুরোধ মানেনি।ফলে এ বছরের আইপিএল থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে চিনা সংস্থাটি। সব সমস্যার সমাধান হলে সামনের বছর আবার টাইটেল স্পনসর হিসেবে ফিরতে পারে ভিভো।ভিভো সরে যাওয়ায় এ বারের আইপিএলে নতুন টাইটেল স্পনসর দেখা যাবে।
সূত্র : আনন্দবাজার