সৌদি আরবের জ্বালানি তেলবহির্ভূত রফতানি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশটির রফতানি ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৮৪০ কোটি সৌদি রিয়ালে (২ হাজার ৮৬ কোটি ডলার) দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ হাজার ৯৪০ কোটি সৌদি রিয়াল। জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস (জিএএসটিএটি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে সৌদি আরবের এ রফতানি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থাৎ ৮৪০ কোটি রিয়াল কম ছিল। তৃতীয় প্রান্তিকে সামগ্রিক পণ্য রফতানি ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩৯ হাজার ৯৭০ কোটি রিয়ালে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২৭ হাজার ৩৬০ কোটি রিয়াল বেশি।
জিএএসটিএটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে রফতানি হওয়া তেলবহির্ভূত শিল্পপণ্যের ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশই ছিল কেমিক্যাল ও সহযোগী শিল্প খাতের।
এ সময়ে দেশটির পণ্য আমদানি বেড়ে ১৮ হাজার ১১০ কোটি রিয়ালে দাঁড়িয়েছে। নথিপত্রে দেখা গিয়েছে, এ পণ্য আমদানি বছরওয়ারি ২৫ দশমিক ১ শতাংশ হারে বেড়েছে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে যা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। কেমিক্যাল ও সহযোগী শিল্প খাতের পণ্যগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে জ্বালানি তেলবহির্ভূত শিল্পপণ্য হিসেবে গণ্য হয়। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসব পণ্যের আমদানির পরিমাণ ছিল ৭৫০ কোটি রিয়াল, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
জিএএসটিএটি আরও জানায়, গত প্রান্তিকে শিল্পপণ্য আমদানিতে মেশিনারি যন্ত্রপাতি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। মোট পণ্য আমদানিতে এ খাতের অংশ ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে জ্বালানি তেলবহির্ভূত পণ্য রফতানির তুলনায় আমদানি দ্রুত হারে বেড়েছে।
সৌদি আরবের মোট পণ্য রফতানির ১৬ দশমিক ৪ শতাংশই গিয়েছে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীনে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে মোট পণ্য আমদানির ২০ দশমিক ৭ শতাংশ আসে চীন থেকে এবং ৮ দশমিক ৮ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে আমদানির বেশির ভাগই সম্পন্ন হয় জেদ্দা ইসলামিক পোর্ট দিয়ে। এ সময়ে সৌদি আরবের পণ্য আমদানি ৫ হাজার কোটি রিয়াল ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটি মোট আমদানির ২৭ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এনএন