বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বিডি পেইন্টসের আর্থিক প্রতিবেদনে অবচয় খরচ কমিয়ে মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে পণ্য বিক্রি নিয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটির প্রকৃত সম্পদ অতিমূল্যায়িত করে দেখানো হয়েছে। আর কোম্পোনিটির ৩ জন উদ্যোক্তার কনসেন্ট লেটারের শর্ত (লকইন শেয়ার বিক্রি) লঙ্ঘন করেছে।
এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, বিডি পেইন্টেসের আইপিও আবেদন অনুমোদন যোগ্য নয় বলে মতামত জানিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ জুলাই বিএসইসিতে এ মতামত জমা দেয় ডিএসই ও সিএসই।
ফলে ডিএসই-সিএসই’র মতামত ও সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিডি পেইন্টেসের আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, বিডি পেইন্টস আইপিওতে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করেছিল। উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, নির্মাণ কাজ, অন্যান্য সিভিল ওয়ার্ক এবং আইপিওর খরচ বাবদ ব্যয় করবে।
বিডি পেইন্টসের ২০১৮-১৯ সালের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মোট মুনাফা হয় ১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা।
প্রসঙ্গত, বিডি পেইন্টসের পূর্ব নাম ছিল আরাফাত পেইন্টস অ্যান্ড কেমিক্যাল ওয়ার্কস। ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটি আরাফাত পেইন্টস অ্যান্ড কেমিক্যাল ওয়ার্কস থেকে নাম পরিবর্তন করে বিডি পেইন্টস লিমিটেড নাম ধারণ করে।