বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিএসএমএমইউতে বসবে মেডিকেল বোর্ড।
স্পর্শকাতর এ অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ মাস আগে চিকিৎসকদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কুড়িগ্রামে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা মেরুদণ্ড জোড়া লাগা এ নবজাতকের বিষয়টি আমাকে জানান। তখন শিশুদের দেখি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকাতে আসতে বলি।
তিনি বলেন, নুহা ও নাবা নামের এ যমজ শিশু প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগে আমার অধীনে চিকিৎসাধীন। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের অস্ত্রোপচার হবে।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ যমজ শিশুর চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে মেরুদণ্ড জোড়া লাগা যমজ শিশুর চিকিৎসায় ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। বোর্ডে পেডিয়াট্রিক সার্জারি, পেডিয়াটিক মেডিসিন, ভাসকুলা সার্জারি, অ্যানেসথেশিয়া, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন।
যমজ শিশু দুটির বাবা কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ীর আলমগীর রানা, পেশায় পরিবহণ শ্রমিক। প্রায় সাড়ে ৭ মাস আগে রানার স্ত্রী নাসরিন ফুটফুটে দুই যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শিশু দুটির মেরুদণ্ড ও স্পাইন জন্মগতভাবে জোড়া লাগা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মাথা জোড়া লাগা দুই শিশুকে আলাদা করা হলেও এবারই প্রথম মেরুদণ্ড জোড়া লাগা শিশুর অস্ত্রোপচার হতে যাচ্ছে।