তেলের দাম বেঁধে দেওয়ায় মস্কোর হুঁশিয়ারি

তেলের দাম বেঁধে দেওয়ায় মস্কোর হুঁশিয়ারি

পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া তেলের দাম মানতে নারাজ রাশিয়া। শুধু তাই নয়, কীভাবে এর জবাব দেওয়া যায় তার বিকল্প খুঁজছে মস্কো। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেনকে সতর্কও করেছে ক্রেমলিন। শনিবার (৩ নভেম্বর) এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।





ইউক্রেন যুদ্ধের রসদ যোগাতে সস্তায় তেল বিক্রি করছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ পশ্চিমাদের। সেকারণে বেঁধে দেওয়া দরে এবার তেল কিনবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। ইইউ দেশগুলোর সরকার রাশিয়ার সমুদ্রজাত জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর)। শুক্রবার জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এতেই ক্ষিপ্ত মস্কো।





ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তেলের মূল্য নির্ধারণের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস শনিবার এমন তথ্য জানায়। পেসকভের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, রাশিয়া মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি মেনে নেবে না।





পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়া চুক্তিটি দ্রুত বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’





ভিয়েনায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনস-এ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘এ বছরের (২০২৩) শুরু থেকে ইউরোপকে রাশিয়ার তেল ছাড়াই বাঁচতে হবে।’





ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তর্ক-বিতর্ক করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে রাশিয়ার তেল বিক্রি থেকে আয় হ্রাস করা। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেলের দামের বৃদ্ধি রোধ করাও এর লক্ষ্য। এই চুক্তি, পশ্চিমা বীমা ও সামুদ্রিক পরিষেবা ব্যবহার করে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে, নির্ধারিত দামের চেয়ে ব্যারেলপ্রতি বেশি অর্থ প্রদান না করলে।





যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন বলেছেন, তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো বিশেষভাবে লাভবান হবে, যাদের জ্বালানি ও খাদ্য পণ্যের উচ্চমূল্যের বোঝা বহন করতে হচ্ছে।





এক বিবৃতিতে ইয়েলেন আরও বলেন, ‘রাশিয়ার অর্থনীতি সংকুচিত হতে শুরু করেছে। দেশটির বাজেটও ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এখন তেলের মূল্য নির্ধারণ অবিলম্বে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসকে আঘাত করবে।’





এদিকে, শুক্রবারও রাশিয়া ব্যারেলপ্রতি ৬৭ ডলারে উরালস ক্রুড বিক্রি করেছে।





এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে চীন, ভারতসহ যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, তারা বিপাকে পড়বে। কেননা, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের অধিকাংশ বিমাকারী ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক। শিপিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও চীনের কাছে আরো তেল রপ্তানির জন্য রাশিয়া একশটিরও বেশি জাহাজ ব্যবস্থা করে রেখেছে।





সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি





অর্থসংবাদ/কেএ


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া