বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর ।এতে বলা হয়, আহত ২১ জন নৌবাহিনী সদস্যের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১১ জন।
ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার বাংলাদেশি নিহত এবং ৯৯ জন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে। নিহত চারজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদী হাসান রনি (২৫) ও মো. রাসেল (২২), মাদারীপুরের মিজানুর রহমান এবং কুমিল্লার রেজাউল।
এদিকে ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের ঘটানয় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার মানুষ। রাজধানীজুড়ে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের পর বৈরুতের নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় শহরটির অর্ধেকই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর মারওয়ান আবৌদ। এ দুর্ঘটনায় বৈরুতের অন্তত তিন লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
বিস্ফোরণের কারণ
বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্দরের একটি গোডাউনে মজুত রাখা ২ হাজার ৭০০ টনেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এ ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়, আর তা অবশ্যই প্রতিরোধযোগ্য।
১৯৪০-এর পর থেকেই সার তৈরিতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এটি সাধারণত দলা আকারে থাকে এবং তৈরিতে খরচ বেশ কম। স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট স্থিতিশীল হলেও উচ্চ তাপমাত্রায় এটি বিস্ফোরিত হতে পারে। এমন বৈশিষ্টের কারণেই খননশিল্পে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা বোমা তৈরিতেও এ রাসায়নিক ব্যবহার করে।
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটেছিল ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ২ হাজার ৩০০ টন সার বহনকারী একটি জাহাজে ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৫০০ মানুষ। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর প্রভাবে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল এবং জাহাজের দেড় টন (১ হাজার ৫০০ কেজি) ওজনের নোঙ্গরটিকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ছুড়ে ফেলেছিল।