সম্মাননাপ্রাপ্ত ভাষাবিজ্ঞানীরা হলেন অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক মনসুর মুসা, অধ্যাপক মহাম্মদ দানীউল হক, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক এবং অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে কেক কেটে দিনব্যাপী উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির এবং অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ৩০বছর পূর্তি উপলক্ষে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং সম্মাননাপ্রাপ্ত ভাষাবিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান।
উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই বিভাগ ভাষাবিজ্ঞান গবেষণা ও চর্চায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। শিক্ষা ও গবেষণাসহ বিভাগের সব কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে হবে।’
অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে অর্জন করেছি। বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষা গবেষণা ও চর্চার মধ্য দিয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছে।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষার অবস্থান আরও জোরদার করতে তিনি ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।