আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অধীনে ৯ সদস্যের সেলটি পরিচালিত হবে।
গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে সেলটির কার্যক্রম শুরু করতে গত ৫ ডিসেম্বর অনুমোদন দিয়েছেন।
বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, “গবেষণার কাজটি আগ থেকেই করা হত একটি বিভাগের অধীনে। এখন একটি ডেডিকেটেড সেল অর্থপাচার ঠেকাতে গবেষণার কাজটি করবে। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কেমন তা পর্যালোচনা করা হবে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একজন অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে গবেষণা সেলটি পরিচালিত হবে।
অর্থপাচার প্রতিরোধের দায়িত্ব বিএফআইইউ এর ওপর থাকলেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কী পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে, তার আনুষ্ঠানিক তথ্য সংস্থাটি প্রকাশ করে না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যই দেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে।
গত অর্থবছরে আমদানিতে উল্লম্ফন হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপে পড়ে বাংলাদেশ, যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে।
গত অক্টোবের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেছিলেন, ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দর দেখিয়ে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।
কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থপাচার হয়– এ প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিশ্বাস বলেছিলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে পাচার হয় ‘সবচেয়ে বেশি’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর একাধিকবার জানিয়েছেন, গত জুলাইয়ের আগে সম্পন্ন হওয়া আমদানি-রপ্তানির এলসি তথ্য বিশ্লেষণে পণ্যর দর বাড়ানো ও কমানোর বিষয়টি তিনিও দেখতে পেয়েছেন। তাদের ধারণা হয়েছে, ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দরে পণ্য আমদানি হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে।
আবার কম দর দেখিয়ে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বাকি অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে জানিয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, গত জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এমন ১০০টি এলসি বন্ধ করার কথাও তিনি জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/কেএ