আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, “বুধবার মেঘলা আবহাওয়া কেটে গিয়ে আকাশ পরিচ্ছন্ন হতে পারে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। শুক্রবার-শনিবারের দিকে শীতের অনুভূতিও বাড়বে সর্বত্র।“
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেও বলা হয়েছিল, ডিসেম্বরের শেষ দিকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। কোথাও কোথাও একটি থেকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে সকাল শুরু হয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে। পৌষের মাঝ সময়ে হঠাৎ করেই দেখা যায় কুয়াশার দাপট।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকালে রাজধানীতে ঢাকায় ৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় টাঙ্গাইলে ৬ মিলিমিটার, নিকলিতে ৫ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৩ মিলিমিটার, তাড়াশে ১ মিলিমিটার, নেত্রকোণায় ২ মিলিমিটার এবং সিলেটে সর্বোচ্চ ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
পৌষের শুরু থেকে উত্তরের জনপদে শীত পড়েছে। মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, “চলতি মৌসুমে কয়েকদিন আগে উত্তরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। ২৯ ডিসেম্বরের পর থেকে জানুয়ারির শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে।“
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।
অর্থসংবাদ/কেএ