গত বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময় সুচিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি ১৯টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ মাস ধরে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
শুক্রবার পাঁচটি অভিযোগে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়। আদালত তাকে দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন। তিনি একজন সরকারি মন্ত্রীর জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার সময় সরকারি নিয়ম অনুসরণ করেননি বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
তিনি এরইমধ্যে কোভিড জননিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন, ওয়াকি-টকি আমদানি ও সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১৪ টি বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
জান্তা সরকারের আদালতে মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্যরা কেউ উপস্থিত থাকতে পারছেন না। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা করে আসছে।
৭৭ বছর বয়সী নোবেল জয়ী অং সান সুচি নেইপিদোর নির্জন কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলার শুনানিতে এখন সেখান থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি।
জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করলেও দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি তখন থেকেই। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে তারা। এখনো প্রায় বিদো্রহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর সদস্যদের লড়াইয়ের খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপগুলো বলছে, মিয়ানমারে সেনা অভূত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন দেশটি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করারও অভিযোগ ওঠে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির সেনাদের নির্যাতনে।
অর্থসংবাদ/এসএম