১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন মোশাররফ। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে সংবিধান বাতিলের ঘটনায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ। লাহোর হাই কোর্টে খোদ ওই আদালত গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন মোশাররফ।
সোমবার নতুন রায়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সরকারি প্রসিকিউটর ইশতিয়াক এ খান বলেন, ‘(মোশাররফের বিরুদ্ধে) অভিযোগ দাখিল, আদালত গঠন, প্রসিকিউশন দল নির্বাচন অবৈধ ঘোষিত হবে।’ তিনি বলেন, ফলে তার বিরুদ্ধে এখন কোনও দণ্ড নেই।
২০১৬ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মোশাররফ। বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।