টানা দুই প্রান্তিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হিসেবে সংজ্ঞায়িত এই মন্দার দেখা এর আগে ২০০৯ সালে পেয়েছিল দেশটি।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০ দশমিক ৪ শতাংশ হারে কমার পর এপ্রিল-জুন সময়ে এক প্রান্তিকের হিসাবে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পতন হয়েছে।
দোকানপাট বন্ধ রাখায় গৃহস্থালির ব্যয় কমেছে; সেই সঙ্গে জিডিপিতে কারখানা ও নির্মাণ খাতের অবদানও অনেক কমেছে।
চ্যান্সেলর রিশি সুনাক বিবিসিকে বলেন, সরকার ‘অভূতপূর্ব এক পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে লড়ছে’ এবং ‘এটা খুব কঠিন ও অনিশ্চিত এক সময়’।
যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে, দোকানপাট, হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্কুল ও গাড়ি মেরামতের দোকান বন্ধ থাকায় প্রবৃদ্ধি পেছন দিকে হাঁটছে।
অর্থনীতির পাঁচ ভাগের চার ভাগ অবদান রাখা সেবা খাত এক প্রান্তিকের হিসাবে সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কারখানা বন্ধ রাখায় ১৯৫৪ সালের পর গাড়ি উৎপাদনের গতি সবচেয়ে শ্লথ হয়েছে। লকডাউনের সবচেয়ে কড়াকড়ির সময় এপ্রিলে ঘণীভূত হয়েছে অর্থনীতির পতন।
এর মধ্যে ১৫ জুন কাপড় ও বইসহ অন্যান্য অ-নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানিরা তাদের দরজা ক্রেতাদের জন্য খুলে দিয়েছে। অন্য দিকে দুই মাসের ব্যাপক ক্ষতির পর নির্মাণ খাত আবার চাঙা হয়ে উঠেছে।
চ্যান্সেলর রিশি বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আসছে মাসগুলোতে অনেক মানুষ চাকরি হারাবে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি হিসাবে, এপ্রিল ও জুনের মধ্যে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সরকারকে আরও সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রাথমিক প্রাক্বলনে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির এই মন্দা উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। গত বছরের শেষের চেয়ে অর্থনীতি আকার এখন পঞ্চমাংশ কম।
যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধির এই পতন স্পেনের ২২ দশমিক ৭ শতাংশের তুলনায় অতোটা খারাপ না হলেও জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সংকোচনের চেয়ে তা দ্বিগুণ।