যশোর কোতয়ালি থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নিহতরা হচ্ছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ছোলিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পরামানিকের ছেলে ধর্ষণ মামলায় আটক নাইম হাসান (১৭), খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দক্ষিণপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে হত্যা মামলায় আটক পারভেজ হাসান (১৮) ও বগুড়ার শেরপুর থানার মহিপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন।
তিনি জানান, সেখানে আটকদের মধ্যে দুই গ্রুপ রয়েছে। এরা হচ্ছে পাভেল গ্রুপ ও রবিউল গ্রুপ। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমিয় দাস জানান, দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি মরদেহ আসে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে। সন্ধ্যা ৬ টা ৩৮ মিনিটে নাইম হাসান, সাড়ে সাতটায় পারভেজ হাসান এবং রাত ৮টায় আসে রাসেলের মরদেহ।
এ চিকিৎসক জানান, এক জনের মাথায় ভারি কোন বস্তু দিয়ে আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে। অন্যদের শরীরের কোন আঘাত এখনও পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে মরদেহ নিয়ে আসা এক ব্যক্তি নিজেকে ওই প্রতিষ্ঠানের বার্তা বাহক পরিচয় দেন। কিন্ত তিনি কিছু বলতে চাননি।