আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তৃতীয় ধাপে এই সেন্টারগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ভোলার চরফ্যাশন, বরগুনার আমতলী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের পেকুয়ার কমিউনিটি ভিশন কেন্দ্রগুলো ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিল ও সেখানে উপকারভোগীদের সঙ্গে পরে তিনি মত বিনিময়ও করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তৃণমূলে মানুষের দ্বোর গোড়ায় চোখের মেডিকেয়ার পরিষেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই অন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এটি একটি জাতি হিসাবে আমাদের জন্য বড় অর্জন কারণ, অনেক মানুষ অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’
নতুন চালু হওয়া কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০টি, রাজশাহী বিভাগে চারটি এবং খুলনা বিভাগে একটি খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৯০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার খুলেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
জাতীয় চক্ষু বিঞ্জান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি আই ভিশন সেন্টার থেকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৭ রোগী চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ২ লাখ ১০ হাজার ৮৬৮ জন কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে চশমা পেয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম