ক্যানালিসের ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সাইবার সিকিউরিটি পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধি পণ্য সরবরাহের চেয়ে বেশি হবে। দেশীয়-আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কেনাকাটায়ও এখন অনলাইন লেনদেনের হার বাড়ছে। তবে অনলাইনভিত্তিক লেনদেনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হ্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকা। হ্যাকাররা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করে বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে। এজন্য সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ক্রমাগত অনলাইন হ্যাকিংয়ের হার বাড়ছে। এজন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সাইবার সিকিউরিটি। প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক বাজেটের ওপর চাপ বাড়ছে। সাইবার সিকিউরিটির জন্য সব পরিকল্পনা হয়তো বাস্তবায়ন হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতের ব্যয় পর্যবেক্ষণ করে দেখবে। কেবল সবচেয়ে জরুরি সাইবার সিকিউরিটির ওপর মনোযোগ দেবে যাতে ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। এক্ষেত্রে সরকার ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বাড়বে, কিন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিম্নমুখী থাকায় ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কিছুটা কমবে।
ক্যানালিসের প্রধান বিশ্লেষক ম্যাথিউ বল বলেন, সাইবার আক্রমণের হুমকির মুখে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাইবার সিকিউরিটি বলয় প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে এবং শনাক্তকরণ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। ২০২৩ সালে সাইবার হামলা মোকাবেলা উন্নত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। অপারেশনাল, অর্থনৈতিক ও ব্র্যান্ড বিবেচনায় কোম্পানিগুলোর জন্য র্যানসামওয়্যার সবচেয়ে বড় হুমকি। তবে চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেলের উদ্ভাবন ও অপব্যবহার ২০২৩ সালের সাইবার ঝুঁকিকে অন্য স্তরে নিয়ে যাবে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্বল ও ক্ষতিকর কোড তৈরি করবে। এতে আক্রমণের ফ্রিকোয়েন্সি ও পরিসর বাড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে বর্তমান ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ওপরে আবার সাইবার সিকিউরিটির জন্য আলাদা করে বড় বিনিয়োগ তাদের বেশ ভালোই ভোগাবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্মার্ট বিনিয়োগ করতে চ্যানেল অংশীদারদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।
ক্যানালিসের রিসার্চ অ্যানালিস্ট শ্রীকারা উপাধ্যায় বলেন, কনসাল্টিং, আউটসোর্সিং, ডিপ্লয়মেন্ট, ইন্টিগ্রেশন, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালন পরিষেবাসহ সাইবার সিকিউরিটি পরিষেবার সরবরাহ ২০২৩ সালে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১৪ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক সাইবার সিকিউরিটি সামগ্রিক বাজারের ৬৪ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। এ বছর সাইবার সিকিউরিটি সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলো সিকিউরিটি কৌশলগুলো পরিবর্তন করবে। মহামারী শুরুর পর থেকে গত তিন বছরে যে কাঠামোগত দুর্বলতা দেখা গেছে সেগুলো সমাধানে কাজ করবে।