আজ রবিবার ডিবিএ এর সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমন কথা বলেন তারা।
ভার্চুয়াল বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকায় পুঁজিবাজার অনেক খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছিল। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় একটি ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে। বর্তমান অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে গত মে মাসে ডিবিএ ব্রোকার কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনা করে। এর মধ্যে জুন ও জুলাই মাস সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও আগস্ট মাসে বাজার একটি অবস্থানে এসেছে। এই অবস্থানে আসার পেছনে রয়েছে বিএসইসির সুশাসনে জোরদার।
শরীফ আনোয়ার হোসেন আরও উল্লেখ করেন, বিএসইসির সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে নিজেরাই সুশাসন জোরদার করা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। যাতে ব্রোকারেজ হাউজে কোন ঘাটতি না থাকে। এর আগে ব্রোকারেজ হাউজের সুশাসনের ঘাটতির কারনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সংকট উত্তরনে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন ওয়েববেজড করতে পারলে বিনিয়োগকারীরা সব স্থান থেকে লেনদেন করতে পারবে। কমিশনও তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সে লক্ষ্যে কাজ করছে।
সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন নেতৃত্ব কথার চেয়ে কাজ বেশি করছে। যার ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়ছে। অনেকদিন ধরে আলোচনা হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরি সমাধানেও এই কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেন ডিবিএ সভাপতি।