বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোকদিবস উদযাপন উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতায় বীমা মালিকদের সংগঠন বিআইএ এই সভার আয়োজন করে বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শেখ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমাশিল্পের সাথে যুক্ত থাকার কারণে আমরা জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করতে পারছি। কিন্তু বীমাশিল্প যদি জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান না রাখে তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।
সভায় বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন। এছাড়া সভায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. এম মোশাররফ হোসেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর ইকবাল, সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনসহ তার জীবনের নানাবিধ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। সভা শেষে ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনার সূচনা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু। তিনি বঙ্গবন্ধুর নানা কর্মকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করেন। পরবর্তীতে বিআইএ'র প্রথম সহ-সভাপতি রুবিনা হামিদ, স্বদেশ লাইফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী, ডায়মন্ড লাইফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইসহাক আলী খান পান্না, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বি এম ইউসুফ আলী, রূপালী লাইফের সিইও পি কে রায়, নিটল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুল হক, মেঘনা লাইফের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ, চার্টার্ড লাইফের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ, ন্যাশনাল লাইফের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।