ইসমাইল ইকবাল সিকিউরিটিজ সংস্থার হেড অব রিসার্চ ফাহাদ রউফ দ্য ডনকে বলেন, ১৯৯৯ সালে নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থা চালুর পর এটাই সার্বিকভাবে ও শতাংশের হিসাবে রুপির সবচেয়ে বড় মান পতনের ঘটনা।
ফরেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের তথ্যমতে, খোলা মুদ্রাবাজার বা কার্ব মার্কেটে এদিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ ২৫৫ রুপিতে এক ডলার বিক্রি হয়েছে। আগেরদিন বিক্রি হয়েছে ২৪৩ টাকায়। গত ১৫ মাস ধরে আন্তঃব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্য দরের কিছুটা ব্যবধানও ছিল, যা বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় উবে গেছে।
আর্থিক তথ্য ও পরিসংখ্যান বিষয়ক পোর্টাল মেত্তিস গ্লোবালের পরিচালক সাদ বিন নাসের জানান, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান ডলারের দর বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাজারের জন্য খুবই ভালো। 'কিন্তু কোনো বিক্রেতা নেই, এই মুহূর্তে সবাই ডলার কিনতে চাইছে'।
আইএমএফ সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানকে ১২০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে চেয়েছে। এই ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা করার সময় অন্যতম প্রধান শর্ত দেওয়া হয় বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার চালু করা। সরকার সে অনুসারেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন নাসের।
এখন বিনিময় দরে সীমা উঠিয়ে নেওয়ার পর আইএমএফসহ অন্য উৎস থেকে ডলার সরবরাহ আসার আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/কেএ