ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ২২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শেয়ারবাজার বিশ্লেষক সংস্থা হাইডেনবার্গ রিসার্চ গত ২৫ জানুয়ারি গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি গ্রুপের প্রতারণা আর কর ফাঁকি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর থেকে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দরপতন হতে থাকে। এতে করে হু হু করে কমতে থাকে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণও।
যদিও কর ফাঁকি ও প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাইডেনবার্গ রিসার্চের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের শেয়ারবাজার সূচক বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বিশ্লেষণ করে জানা যায়, তিন দিনে আদানি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দাম কমেছে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারের দাম কমেছে ১৯ শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জির মেয়ারের দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আদানি গ্রুপের প্রধান বা ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি হিসেবে যেটিকে ধরা হয়, সেই আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
এছাড়া আদানি গ্রুপের লিজ নেওয়া বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর (ইপিজেড) শেয়ারের দরপতন হয়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, আদানির গ্রুপের অধীন খাদ্য ও ভোজ্যতেল প্রস্তুতকারী কোম্পানি আদানি উইলমারের শেয়ারের পতন হয়েছে ৫ শতাংশ।
সবচেয়ে কম হ্রাস পেয়েছে আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণকারী কোম্পানি আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দাম। গত তিন দিনে এ কোম্পানির দরপতন হয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এদিকে গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠিত আদানি গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে বড় বন্দর পরিচালনাকারী ও তাপ কয়লা উৎপাদন কোম্পানি। এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ, পণ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আবাসন ব্যবসায়ও এ গ্রুপের আধিপত্য আছে।
আদানি গ্রুপ এখন ভারত ও পুরো বিশ্বে তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। গত বছর সুইজারল্যান্ডের হোলসিমের কাছ থেকে ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে এসিসি এবং আম্বুজা সিমেন্টের মালিকানা কিনে নেয় তারা।