ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন-২০২৩’ শিরোনামের এই বিলটি পাশের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাশ হয়।
বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাশের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলের সদস্যরা। তবে প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর মধ্যে বিরোধী দলের সদস্যদের আনা কয়েকটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিলটি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পাশ হওয়া আইনে অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ অনুচ্ছেদের বাইরে গিয়ে তিনি অর্থদণ্ড আরোপ করতে পারবেন। আর বিলের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি হাট ও বাজারের সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে দখলে রাখলে বা খাসজমির ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে- হাট ও বাজার স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে ১৯৫৯ সালে প্রণীত অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলায় নতুন বিলটি আনা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে।