পাইপলাইনে পড়ে আছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার

পাইপলাইনে পড়ে আছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার
স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২ সালের জুন। এই ৫১ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে ঋণ এসেছে ৭ হাজার ৭১৫ কোটি বা ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে অনুদান এসেছে ১ হাজার ৭৫৪ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন ডলার। ঋণ ও অনুদান মিলে উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট থেকে প্রকল্পের আওতায় ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে পাইপলাইনে পড়ে আছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রকাশিত ‘ফ্লো অব এক্সটার্নাল রিসোর্সেস ইনটু বাংলাদেশ ২০২১-২২’ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ সময়ে অনুদান এসেছে ৬৫ দশমিক ৫৮ কোটি ডলার বা ০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের।

বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের শীর্ষে রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। বিদ্যুৎ খাতে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঋণ এসেছে। এর পরেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এসেছে ১৬ বিলিয়ন। সবচেয়ে কম, ১ বিলিয়ন ডলার এসেছে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ঋণ নেওয়া হয়েছে সরকারি সাধারণ সেবা খাতে। ঋণের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া শিক্ষা খাতে ৭৬৬, স্বাস্থ্য খাতে ৬৫৮, হাউজিং খাতে ৬৪৭ কোটি ডলার ঋণ এসেছে।

ঋণ দেওয়ার শীর্ষে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংক দিয়েছে প্রায় ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ২০ বিলিয়ন ডলার, জাপান ১৪ ও চীন ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ার নিকট থেকে ৫৭৮, জাতিসংঘ থেকে ২২৯, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২৯, যুক্তরাজ্য থেকে ২২২, কানাডা থেকে ৮৮, জার্মানি থেকে ১৫৮, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ১২২, ভারত থেকে ১৫৪ এবং ইউনিসেফ থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ১৫১ কোটি ডলার।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ