রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় এক্সচেঞ্জটি এই প্রস্তাব করেছে। বৈঠকে ১১ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয় সিএসই।
বর্তমানে টিআইএনধারী নিবাসী বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশের উপর ১০ শতাংশ হারে এবং টিআইএনবিহীন নিবাসী বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে উৎসে কর কাটার হার ২০ শতাংশ। সিএসইর মতে এ বিধান দ্বৈত কর সৃষ্টি করছে। কারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো প্রথমে তাদের মুনাফার উপর থেকে সরকারকে আয়কর দেয়। একই আয়ের বিপরীতে ঘোষিত লভ্যাংশের উপর উৎসে করা কাটার অর্থ হচ্ছে, একই আয়ের জন্য দু’বার কর দেওয়া।
এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবনায় করমুক্ত ব্যক্তি আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ হয়েছে। শেয়ারবাজারের এসএমই খাতের কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ৩ বছর করছাড় চায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। পরবর্তীতে ১৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে সিএসই।
পৃথক বন্ড মার্কেট গঠনের লক্ষ্যে বন্ড লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে সিএসই। বর্তমানে বন্ড লেনদেনের ওপর ১০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। সিএসই বলছে, বন্ড বাজারে পণ্যের বৈচিত্রতা আনতে এ বিধান বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও এটিবি (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে মূল মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যায় সুবিধা প্রদানের সুপারিশ করেছে সিএসই।